ধর্মলাইফস্টাইল

রোজায় মিসওয়াক ব্যবহারের নিয়ম বিষয়ে জানতে চাই

অপার মহিমার মাস রমজান। আত্মশুদ্ধি আত্ম গঠনের এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

রমজান মাসকে সঠিকভাবে পালনে করণীয় ও বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ে জানার থাকে মুসল্লিদের।

প্রশ্নকর্তা আনিসুল ইসলাম, জুরাইন, ঢাকা।
প্রশ্ন- রোজা অবস্থায় মিসওয়াক ও টুথপেস্ট ব্যবহার করার নিয়ম কি
উত্তর -যদি গলার মধ্যে না যায় তবে টুথপেস্ট ও পাউডার ব্যবহার করতে কোনো অসুবিধা নেই। এমনিভাবে দিনের শুরুতে ও শেষে যে কোনো সময়ে মিসওয়াক করতে কোনো অসুবিধা নেই। কতিপয় আলেম দুপুরের পর মিসওয়াক করাকে মাকরুহ বলেছেন। অবশ্য এ মত শুদ্ধ নয়। সঠিক কথা হল, কোনো সময় মিসওয়াক করা যায়। কেননা রাসূল (সা.) মিসওয়াক সম্পর্কে যা বলেছেন তা ‘আম’ অর্থাৎ ব্যাপক।

তিনি বলেছেন, ‘মিসওয়াক মুখকে পবিত্র ও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। ’ (নাসায়ি, আয়েশা (রা.) থেকে)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো তা হলে আমি প্রত্যেক সালাতে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারি ও মুসলিম) আর এ হাদিস জোহর ও আছরের সালাতকেও শামিল করে। কারণ এ দু’সালাত দুপুরের পরেই হয়ে থাকে।

প্রশ্নকর্তা মো. রুহুল আমিন, গাজীপুর।
প্রশ্ন- রোজা অবস্থায় ঘন ঘন থু থু গিলে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে কি-না
উত্তর -রোজা পালনকারী যদি মুখে থাকা থু থু গিলে ফেলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর এ মাছআলায় উলামাদের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই। কেননা বার বার থু থু ফেলা যেমন কষ্টকর তেমনি থু থু না গিলে থাকাও সম্ভব নয়। কিন্তু কাশি ও শ্লেষ্মা যদি মুখে এসে যায় তবে তা ফেলে দিতে হবে। সিয়াম পালনরত অবস্থায় তা গিলে ফেলা জায়েজ নয়। কেননা কাশি ও শ্লেষ্মা থুথুর মতো নয়। আল্লাহ তায়ালাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

প্রশ্নকর্তা মো. সজিব, পাবনা।
প্রশ্ন: কয়েল, ধূপ, আগরবাতি ইত্যাদি রমজান মাসে জ্বালানো জায়েজ কি-না
উত্তর: রমজান মাসে দিনের বেলা মশার কয়েল, ধূপ, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানো জায়েজ। এতে রোজার ক্ষতি হবে না। কারণ ধূপ, কয়েল, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানোর পর আশপাশে সাধারণত এর ঘ্রাণই ছড়ায়। এর ধোঁয়া নাক পর্যন্ত পৌঁছে না। এরপরও অনিচ্ছাকৃত তা নাকে-মুখে চলে গেলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা অবস্থায় কেউ যদি নাক বা মুখ দিয়ে এগুলোর ধোঁয়া টেনে নেয় সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ২৩৯৫; আশশুরুনবুলালিয়া ১২০২; মাজমাউল আনহুর ১৩৬১; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুর ১৪৫০)

পরামর্শ দিয়েছেন
মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
লেখক: বিশিষ্ট মুফাসসির কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d