শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে মেজর সহিংসতা হয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেজর কোনো সহিংসতা হয়নি।
বুধবার (৫ জুন) চতুর্থ ধাপের উপজেলা ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজ ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট পাঁচ হাজার ১৪৬টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। মোট এক কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮২ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিন পদে পাঁচ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা দুই হাজার ৮৯ কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। এতে ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আজকে মোট ২৮ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। নয়জনকে বিভিন্ন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করেছেন। ২১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ভৈরব উপজেলায় একটা ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে, সেটা খুলেও ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা। ফলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সহিংসতার কথা যদি বলি খুব মাইনর আহত হয়েছেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে। বরিশালে পাঁচজন আহত হয়েছে। ওখানে একটু কোপাকুপি হয়েছে। খুব গুরুতর নয়। তবে মাইনরের চেয়ে একটু বেশি।
নেত্রকোনার কেন্দুয়াতে একজন প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালট পেপারে সিল মারছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টোটাল জাল ভোটের ইনসিডেন্ট ঘটেছে পাঁচটি। ইভিএমে যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানে কোনো ইনসিডেন্ট হয়নি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ২২টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোট হবে। ভোট শেষে পর্যালোচনা করবো, কেমন হলো।
ভোটার দেওয়ার সাক্ষ্য হিসেবে আঙুলে কর্মকর্তাদের লাগিয়ে দেওয়া অমোচনীয় কালি ওঠে যাওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, অ্যাসিড দিয়ে, লেবু দিয়ে অনেকে অমোচনীয় কালি আঙুল থেকে তোলার চেষ্টা করেন। এমনি ওঠে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। কোনো রকম মেজর কোনো সহিংসতা হয়নি। রাজনৈতিক বিষয়গুলো আমরা বিচার বিশ্লেষণ করতে পারবো না।