শাশুড়ির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জামাতা ভাইসহ ২৯ বছর পর গ্রেপ্তার
বাঁশখালীতে শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় ২৯ বছর ধরে পলাতক ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জামাতা কামরুল ইসলামকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কামরুলের ভাই মো. সেলিমকেও (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়ার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাট থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার কামরুল ইসলাম ও মো. সেলিম বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের চাঁপাছড়ি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে কিশোরী শওকত আরা বেগম রুমিকে অপহরণ করে কামরুল ইসলাম ও তার ভাই সেলিম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী রুমির মা বুলবুল আক্তার বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৯ সালে আদালত ওই মামলায় দুই আসামিকে ১০ বছর সাজা দেন। একই সাথে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাই। অপহরণ ও মামলার পর থেকে কামরুল ইসলাম ও অপহৃতা কিশোরী শওকত আরা বেগম রুমি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আত্মগোপনে থেকে ঘর সংসার করে আসছিল। তাদের ঘরে ২৯ বছরে ছেলে মেয়ে এমনকি নাতি নাতনি পর্যন্ত হয়ে যায়।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি করে মোট দুইটি জিআর সাজা পরোয়ানা ছিল। দুই মামলায় উভয়ের ১০ বছর করে সাজা পরোয়ানা রয়েছে। একই সাথে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সাজা আছে। কামরুলের বর্তমানে ছেলে-মেয়ে এবং নাতি পর্যন্ত হয়ে গেছে। টানা ২৯ বছর তারা আত্মগোপনে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে অপহরণ করা সেই কিশোরীর সাথে বিয়ে পরবর্তী সংসার পাতলেও শ্বশুর বাড়ির সাথে কামরুল ও তার স্ত্রীর যোগাযোগ এবং সম্পর্ক ছিল না।’