শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকার ভাগ নিলেন প্রধান শিক্ষক
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১১টি স্কুলে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে প্রতি স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থীকে। আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই অনুদানের টাকায় ভাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পিবিজিএসআই এর বরাদ্দকৃত জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা ওই বিদ্যালয়ের ২০ জন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীর নামে আসে। তবে শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক নিজে প্রতি শিক্ষার্থীর থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ২ হাজার বা এরও কম টাকা দিচ্ছেন।
আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনার বাবা জাকির শিকদার বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক আমাকে ফোন করে বলেন আপনার কিছু টাকা আছে। আপনি স্কুলে এসে নিয়ে যান। স্কুলে যাবার পরে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন প্রধান শিক্ষক। এরপর আমার কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল নিয়ে ৩ হাজার ২০ টাকা ক্যাশআউট করে নেন তিনি। আমার মোবাইলে ১৯৮০ টাকা রেখে দেন। বাকি টাকা কোথায় গেল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল দিয়ে স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পরে যাকে যেরকম পারছে তাকে সেরকম ভাবে বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের টাকায় ভাগ নিচ্ছে। আর বলে স্কুলের কাজের জন্য কিছু টাকা রাখা হয়েছে। তবে অভিভাবকদের কাউকে জানায়নি যে শিক্ষার্থীরা ৫ হাজার টাকা পেয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হয়েছে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি। আমার রিরুদ্ধে দেওয়া সকল অভিযোগ মিথ্যা।