শিরীষতলার বইমেলায় হাজারো মানুষের ভিড়
নানা বয়সী হাজারো মানুষ। তারুণ্যের ঢল বেশি। প্রতিটি স্টলে ভিড়। বিক্রয়কর্মীদের ফুরসত নেই। বইমেলা মঞ্চে জমজমাট কথামালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কেউবা এসেছে ছুটির দিনে সপরিবারে, সবান্ধবে ঘুরতে। তারা ব্যস্ত নগরের ফুসফুস খ্যাত সিআরবির শতবর্ষী গাছের সঙ্গে সেলফি তোলায়, কিংবা আড্ডায়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার চিত্র এটি।
আপন আলোর প্রকাশক নাজমা হক জানান, এবার ২৫টি নতুন বই এনেছি আমরা। প্রচুর লোক সমাগম হচ্ছে কিন্তু বইমেলায় আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। তবে বই দেখছে, ছবি তুলছে এটা ভালো দিক।
খড়িমাটির স্টল থেকে চবির শিক্ষক কানিজ ফাতেমার ‘ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মাহমুদুল হক জীবন ও কর্ম’ বইটি কিনেছেন আনিসুর রহমান। তিনি জানান, অনেক বই কিনতে ইচ্ছে করছে। আজ একটি কিনলাম।
কাট্টলী চসিক বালিকা স্কুলের শিক্ষক মো. জহিরুল আলম। তিনি বই কিনেছেন আপন আলোর স্টল থেকে। বললেন, আমার স্যার শামসুদ্দিন শিশির বললেন বইটি কিনতে। খুব ভালো লাগছে।
দুলাল চন্দ্র দের ‘প্রেম এক বহতা নদীর নাম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে আসেন নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা আজ জনসমুদ্র হয়ে গেছে। আগামী বছর আরও তিনশ স্টল করার স্পেস আছে। মাঠ আছে, প্রশস্ত সড়ক আছে। এমন প্রকৃতিঘেরা জায়গা আর কোথাও নেই।
প্রথমবার মেলায় এসেছেন নাট্যজন অভীক ওসমান। তিনি বলেন, চসিক বইমেলার স্থান হিসেবে সিআরবি শিরীষতলা পছন্দ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে কিছু লেখক তৈরি হচ্ছে। মানুষ বেশি হচ্ছে মেলায়। বিনোদন হিসেবে নিচ্ছে হয়তো। যারা ভাইরাল হয়েছে তাদের বই বিক্রি হচ্ছে। আশার কথা তরুণ প্রজন্ম, শিশুরা বইমেলায় আসছে, সময় কাটাচ্ছ। তারা বইমেলাকে ভালোবাসছে, একদিন বইপ্রেমী হবে।