শিল্পনগরে বদলে যাচ্ছে মীরসরাই-সীতাকুণ্ড
আগামীর চট্টগ্রামে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অঞ্চল হতে যাচ্ছে মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড। আর ছোট-বড় শিল্প অবকাঠামোতে বদলে যাবে এখানকার চিত্র।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থিত মীরসরাই উপজেলা। এ উপজেলায় ৩৩ হাজার একর জায়গায় দেশের সবচেয়ে বড় ইকনোমিক জোন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে।
এই জোনকে ঘিরে আগামীর অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন মীরসরাইয়ের মানুষ। যেখানে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আগামী বছর এখানে মোট ২১টি কারখানা উৎপাদনে যাবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ দুই উপজেলা আগামীর চট্টগ্রামের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগস্থল। তবে চাপ সামলাতে দ্রুত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করতে হবে।
এছাড়া কৃষিজমি রক্ষা, কারখানায় স্থানীয়দের নিয়োগ, সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ চান এখানকার ভোটাররা। এ দুই উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ১০ হাজার।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের ভাবনা, শিল্পায়নের সঙ্গে এই এলাকাকে তারা কিভাবে সাজাবেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত চট্টগ্রাম-১ আসনের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেল বলেন, ‘আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই কথা সবসময় বলেন। আর কখনই কৃষিজমি বেহাত হতে দিবো না। এখানে ফসল উৎপাদনই হবে, আর কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।’
এদিকে পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ডে ৩০০টি কারখানা আছে। নগরীর সাথে লাগোয়া এই উপজেলায় শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড, ইস্পাত, সিমেন্ট শিল্প ও গাড়ি তৈরির কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম আল মামুন বলেন, এ আসনটি চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার। তবে এ অঞ্চলটি শ্রমিক ও শিল্পবান্ধব এলাকা হিসাবে গড়ে ওঠেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করাসহ আমরা স্থানীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।