শুধু আওয়ামী লীগ নয় আগামী নির্বাচন জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ: নাছির
আগামী নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয় বরং জাতির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
রবিবার নগরের দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এই নির্বাচন শুধুমাত্র আওয়ামী পরিবারের জন্য নয়, বাঙালি জাতিসত্তার জন্য বড় ও শক্ত চ্যালেঞ্জ। তাই এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণেই নির্বাচনী ফলাফলের উপর নির্ভর করবে এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি থাকবে কি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে কি না নাকি আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। কেননা আমরা দেখতে পারছি একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের আন্তর্জাতিক মুরুব্বী সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি একটি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে।
তিনি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তি হিসেবে অভিহিত করে আ.জ.ম নাছির বলেন, যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন সেই শাহ আজিজ প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব হিসেবে অভিযুক্ত করে বলেন, যদি তিনি হন তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আড়াল করেন কীভাবে এবং তাদের দায় মুক্তির জন্য সংসদে বিল পাশ করেন কীভাবে?
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণ করেছেন। মানুষ এখন ক্ষুধা মুক্ত আগে এদেশের হাড্ডিসার মানুষের ছবি দেখিয়ে এনজিওগুলো বিদেশে টাকা ভিক্ষা করে আনতো। ওই টাকার ৮০শতাংশ নিজেরা পকেটে পুরে ২০ শতাংশ দিয়ে ড. ইউনুসের মত সুদের ব্যবসা করতো। এই ইউনুসের সাথে গলা মিলিয়ে বিএনপি মীর্জা ফখরুল এখন সরকার পতন চান। মীর্জা ফখরুল এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তার পিতা মির্জা গোলাম হাফিজ একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলো। তাই মির্জা ফখরুল শতভাগ বাংলাদেশ বিরোধী।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তাঁর চিকিৎসা ইস্যু করে বিএনপি মাঠ গরম করতে চায়। খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও এতিমদের অর্থ আত্মসাতের মামলাটি আওয়ামী লীগ করেনি, করেছে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার। ওই মামলায় দোষী সাবস্থ হয়ে তিনি দণ্ড ভোগ করছেন সেই দণ্ড বাতিলের ক্ষমতাও বতর্মান সরকারের নেই। তাই তাকে আগে তাঁর কৃতকর্মের জন্য রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর তার মুক্তির বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং তা শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। এখানে বাতিল ও মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধোঁয়া তুলে কোন লাভ নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব বদিউল আলম, নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল হক মিয়া, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, আলহাজ্ব শাহাবউদ্দীন আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন তপন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজিবুল হক পেয়ারু, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য্য। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, মোহাম্মদ হোসেন, মানস রক্ষিত, আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাছুম, আবদুল আজিম, সাইফুল আলম বাবু, স্বপন কুমার মজুমদার, ফারুক আহমদ, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, মিথুন বড়ুয়া, মোঃ ইব্রাহিম, আবছার উদ্দিন চৌধুরী, ফজলে আজিজ বাবুল, আসফাক আহমেদ, আনিসুর রহমান ইমন প্রমুখ।