শুধু গণিতেই ফেল ১ লাখ ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থী!
২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন নয়টি সাধারণ বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছেন ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৩২ জন। সেই হিসাবে ১০টি বোর্ডে ফেল করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬২৭ জন। যার মধ্যে শুধু গণিতেই ফেল করেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ জন। অর্থাৎ, ফেল করা শিক্ষার্থীদের অর্ধেকের বেশি গণিতে অকৃতকার্য হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮টি। আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাস করেনি। এই পরীক্ষায় পাসের হার কিছুটা বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে গণিতের খারাপ ফলাফল।
দেখা গেছে, বোর্ডভিত্তিক ফলাফলে গণিতে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে মাদরাসা বোর্ডে। এই বোর্ডের ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই গণিতে ফেল করেছেন। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে গণিতে ফেলের হার ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭ দশমিক ৬৩, বরিশালে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে ফেল করেছে।
অন্যদিকে গণিতে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে যশোর বোর্ড। এই বোর্ডটিতে গণিতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এবারের ফলাফলে দেশসেরা হয়েছে যশোর বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।