চট্টগ্রামরাজনীতি

শেখ হাসিনার বেঁচে থাকা গর্ব ও অহংকারের: জেলা পিপি

৩৬তম চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সম্মুখে স্থাপিত শহীদ স্তম্ভে চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি সমবেত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে গণহত্যার ঘটনার দিনের স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, সেইদিন আদালত ভবনের পাদদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পুলিশের গুলি বর্ষণের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির একঝাঁক আইনজীবী সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাজেদুল হক, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আমি সহ অন্যান্যরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মানবপ্রাচীর রচনা করে আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর মিলনায়তনে নিয়ে আসি। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।

আইনজীবী সমিতির মিলনায়তন থেকে বিকাল ৪টার দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আখতারুজ্জামান চৌধুরীর সার্সন রোডস্থ বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হর। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অফিসে গিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন এবং এই হত্যাকাণ্ডকে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের চেয়েও বড় হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে বলেন- স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘন্টা বেজে উঠেছে।

শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আরো বলেন, সেইদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসে আইনজীবীরা যে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। সেদিন আইনজীবীরা এগিয়ে না এলে ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো। সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি বহু ব্যর্থ হত্যার অপচেষ্টা থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে রক্ষা পেয়ে বেঁচে আছেন এবং ৫ম বারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এটাই আমাদের সৌভাগ্য এবং গর্ব ও অহংকারের বিষয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার তালুকদার, আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মো. মহসিন, অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাশ, অ্যাডভোকেট আজাহারুল হক, অ্যাডভোকেট সামশুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিকী টিপু, অ্যাডভোকেট রাশেদুল আলম, অ্যাডভোকেট জি এম কাদের, অ্যাডভোকেট আলী শাহ, অ্যাডভোকেট যীশু কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাদী হাম্মাদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাহিদ আল ফয়সাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শ্যামল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট টিপুশীল জয়দেব, অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান মুন্না, অ্যাডভোকেট এমরান নাঈম, অ্যাডভোকেট আল মামুন করিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d