শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবার-পরিজনকে হারিয়ে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে (১৭ মে) দেশের মাটিতে ফিরে আসেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রাণ হারান পরিবারের প্রায় সব সদস্য।
এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। নানা ঘটনা প্রবাহের পর ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে নির্বাচিত করা হয় দলের সভাপতি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সেসময়কার সরকার।
তবে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফেরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। অবসান ঘটে দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবনের। সেদিন রাজধানী ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি।
দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে এগিয়ে যান শেখ হাসিনা।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো দেশের হাল ধরেন তিনি। এরপর ২০০৯ থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। টানা ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার ঘোষণা বাংলাদেশকে ‘স্মাট দেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।