শেয়ারবাজারে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন
শেয়ারবাজারে ব্যক্তিশ্রেণির নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে আবার লেনদেনে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। নির্বাচনের পর বাজারের প্রতি এই শ্রেণির মাঝারি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে বলে জানান নেতৃস্থানীয় কিছু ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২ পয়েন্টের মতো কমেছে। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৪ কোটি টাকা বেশি। নির্বাচনের পর প্রথম কার্যদিবসে সোমবার ডিএসইএক্স সূচকটি অবশ্য ২৫ পয়েন্ট বেড়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল দিনের শুরুটাও হয়েছিল সূচকের ইতিবাচক ধারায়।
অনেকে বিনিয়োগের জন্য খোঁজখবর নিচ্ছেন। এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগও বাড়তে শুরু করবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া দরকার বলেও মনে করেন তাঁরা।
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা পাঁচ ব্রোকারেজ হাউস হলো ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, লংকা–বাংলা সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ ও শান্তা সিকিউরিটিজ। এ পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউস মিলে মঙ্গলবার সোয়া ১০০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার কিনেছে। এর বিপরীতে তারা বিক্রি করেছে প্রায় ১১২ কোটি টাকার শেয়ার। এসব ব্রোকারেজ হাউসের মধ্যে প্রকৃত বিনিয়োগ বেশি ছিল ইবিএল সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও শান্তা সিকিউরিটিজের।
ইবিএল সিকিউরিটিজ থেকে গতকাল ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির বিপরীতে কেনা হয়েছে ২২ কোটি টাকার শেয়ার।