জাতীয়

সচিবালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে

ঢাকা: প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে রাত থেকে সচিবালয়ে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন এবং রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর সচিবালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে সরকার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল ৫টা থেকেই সচিবালয়ে গেটে বিজিবির টহল দেখা গেছে। এছাড়া সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনের গেটে র‌্যাবের কয়েকটি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে বিজয়নগর মোড়ে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৩টার দিকে নয়াপল্টন, বিজয় নগর, কাকরাইল, পুরানো পল্টন ও রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

তারপর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার খবর পায়। আগুন কীভাবে লেগেছে তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য বলেন, অন্যান্য দিনের মতো সকাল থেকেই আমরা তৎপর রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনার পর আমরা এখানে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর রয়েছি।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

দিনব্যাপী এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতা-কর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। একইসঙ্গে পৃথকভাবে হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d