সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখান
সবাইকেই এখন হিসেব করে চলতে হয়। আয়-ব্যয়ের বিষয়ে যদি অল্প বয়স থেকেই একটু করে সচেতনতা তৈরি হয়, তবে পরবর্তী জীবনে চলার পথটা অনেক সহজ হবে। এখন অনেক পরিবারেই সন্তানকে বিভিন্ন ছোটখাটো অর্থনৈতিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। টাকাপয়সা সামলানোর ক্ষেত্রেও এগোতে হবে ধাপে ধাপে। শুধু খরচ করাই নয়, সঞ্চয় করাও শেখাতে হবে তাদের। তাই সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখান! কীভাবে ছোট থেকে সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখাবেন চলুন জেনে নেই:
বাজার করতে শেখান
অল্প টাকার হিসেব দিয়ে সন্তানকে বাজারে পাঠান। টুকিটাকি বাজার করতে গিয়েই সে বুঝতে পারবে পণ্যের ভালোমন্দ। বুঝতে শিখবে অল্প টাকার সমন্বয়েও সে কত কিছু করতে পারে। এমনও হতে পারে, বাজার ভালো করে কিছু টাকা বাঁচালে সেটা তার। এভাবে সেও হিসেব করতে শিখবে।
সঞ্চয় হোক আবদারে
শিশুর অনেক আবদার থাকে। খেলনা কেনার আবদার থাকলে বা কোনোকিছুর শখ থাকলে বরং তাদের অল্প অল্প জমা করতে বলুন। নির্দিষ্ট অর্থ জমলে ওই টাকা দিয়ে সঙ্গে নিয়ে জিনিসটি কিনে আনুন। এভাবে আপনার শিশু অন্তত সঞ্চয় করতে শিখবে।
অল্প হাতখরচ দিন
ছ-সাত বছর বয়স হলেই অল্প করে হাতখরচ দিন। এভাবে বুদ্ধি খরচ করে অর্থব্যয় করতে শিখবে সে। একটা কৌটো দিতে পারেন। খুচরো টাকা জমাক ওই হাতখরচ থেকে।
সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে দিন
ব্যাংকিং সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের অনেকেরই নেই। অথচ ব্যাংক কতটা জরুরি তা জীবনের একটা পর্যায়ে অনেকেই বুঝতে পারেন। বাচ্চাদের জন্য আজকাল স্টুডেন্ট একাউন্ট রয়েছে। সেখানে অনেক কম খরচে বা বিনামূল্যে ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়। বাড়িতে কোনও অতিথি এলে কিংবা কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে বড়দের কাছ থেকে তারা যে টাকা পায়, সেটা ব্যাঙ্কেই জমা করে রাখুন। ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় ওদেরও সঙ্গে নিয়ে যান, তা হলে ছোট থেকেই ওদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা তৈরি হবে। আবার বাচ্চার কৌটোর টাকা ভেঙে যে অর্থ পাওয়া যায় সেটাও ব্যাংকেই রেখে দিন।