সবার প্রচেষ্টায় হবে তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ: তরফদার রুহুল আমীন
সবার প্রচেষ্টায় সংকটকালে তারুণ্যনির্ভর সুন্দর, সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইর পোর্ট অ্যান্ড শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমীন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত অন্তর্বতী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে শুক্রবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণবিপ্লবের সব বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তরফদার মো. রুহুল আমীন বলেন, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
আন্দোলনে যারা আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জটের কারণে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস (২০ ফুট হিসেবে)। এর বিপরীতে কনটেইনার জমেছে প্রায় ৪২ হাজার টিইইইসের বেশি। এর মধ্যে ঢাকা কমলাপুর আইসিডিগামী ২ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে রয়েছে। যার কারণে আমদানি পণ্য ডেলিভারি (সরবরাহ) কমেছে। সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হলে আমদানি খরচ বেড়ে যাবে এবং ব্যাহত হবে পণ্য রপ্তানি। এ ছাড়া জাহাজে পণ্য উঠানামার কাজে বিঘ্ন ঘটছে এবং জাহাজ জটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সরবরাহ, বিঘ্নিত হচ্ছে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অতিসত্তর গতিশীল করা উচিত। এর জন্য এনবিআর, কাস্টমস, রেলওয়ে ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা অতীব জরুরি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমরা টার্মিনাল অপারেটর, বার্থ অপারেটররা ২৪ ঘণ্টা করে ৭ দিনই কাজ করতে প্রস্তুত আমদানি পণ্য ডেলিভারি ও রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণের জন্য।