সরকারি খাল দখল করে উঠছে পাকা স্থাপনা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শত বছরের পুরনো রাজা খাল দখল করে পাকা স্থাপনা তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। ফরিদুল আলম নামে ওই ব্যক্তির তোলা স্থাপনার কারণে পানি নিস্কাশনের পথ রূদ্ধ হবে অন্তত দুই গ্রামের মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চুনতি মিরিখির সড়কে শত বছরের পুরনো ডেপুটি বাজার সংলগ্ন (১নং খাস খতিয়ানভুক্ত বিএস দাগ নং-৫৩০) ২০ ফুট প্রশস্তের রাজা খালটি সময়ের ব্যবধানে প্রায় মৃত। মো. ফরিদুল আলম প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে খাল জবর-দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। কাজ শুরুর পরপরই স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহমদ স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, রাজার খালটি অবৈধভাবে জবর দখলের ফলে খালের মূল নকশা অনেকটা হারিয়ে গেছে। নকশা অনুযায়ী যতটুকু খাল থাকা দরকার ততটুকুও নেই। পানি চলাচলের জায়গা তৈরি করে খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে দোকাপাট। এবার পানি চলাচলের মুখ বন্ধ করে দিয়ে স্থাপনা তৈরি করছেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় অসীদ দাশ বলেন, কে কার কথা শুনে। স্থানীয় ফরিদুল আলম প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। যার ফলে খাল দখল করে পানি নিষ্কাশনে পথ বন্ধ করে স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। পানির গতিপথ যদি পরিবর্তন হয় তাহলে দুই গ্রামের শতশত মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়বে।
অভিযুক্ত মো. ফরিদুল আলম বলেন, আমার জায়গা আমি দখল করছি। সরকারি কোন খাল দখল করা হচ্ছে না। পানি চলাচলেল মুখ বন্ধ করে স্থাপনা তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভূমি অফিসের নির্দেশনায় স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তবে নির্দেশনার কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জনু বলেন, পানি চলাচলের খাল দখল করা সম্পূর্ণ বে-আইনি। রাজাখাল দখল করে স্থাপনা তৈরি হচ্ছে শুনে সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশানর (ভূমি) নাজমুন লায়েল বলেন, রাজাখাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরেছি। খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা ও পনি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ার বিষযটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।