চট্টগ্রামবাঁশখালী

সরকারি জায়গায় নির্মাণাধীন অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদী মিয়ার বাজার সড়কের পাশে সরকারি খাস জায়গায় দখল করে অবৈধ দোকান নির্মাণ করছিলেন মুঈনদ্দিন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন দোকানের অংশবিশেষ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী এসব গুঁড়িয়ে দেন।

এরআগে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই ব্যক্তিকে স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তবে রাতের অন্ধকারে তিনি নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, জলদী মিয়ার বাজার প্রধান সড়কের পাশে চৌধুরী মার্কেটের সামনে ২২ শতক খাস জমির উপর অবৈধভাবে এসব দোকান নির্মাণ করছিলেন হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী পরিচয়ে মুঈনদ্দিন চৌধুরী নামে একজন। হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের জমির উপর নির্মিত চৌধুরী নিউ মার্কেটের সামনেই এসব দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছিলো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসন এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে লাল পতাকা টাঙিয়ে সর্তক করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে ধীরে ধীরে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিচ্ছিল অবৈধ দখলদাররা।

এ বিষয়ে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ১ নং যুগ্ম মোতাওয়াল্লী বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মোতোওয়াল্লী। আমি। এই জায়গাটি হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মালিকানাধীন চৌধুরী নিউ মার্কেটের পার্কিং ও খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা। আমার বড় ভাই ওয়াকফ এস্টেটের অনুমতি না নিয়ে গায়ের জোরে কিছু সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে মার্কেটের সামনে থাকা পার্কিংয়ের জায়গায় বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ কাজ করছিলো। যেখানে ওয়াকফ এস্টেটের লিখিত কোন অনুমতি নাই। আমি নিজে বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, অবৈধভাবে খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় দোকান নির্মাণের করার অভিযোগে তাকে মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা না মেনে তিনি পুনরায় রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে আজ অভিযান চালিয়ে স্থাপনার অংশবিশেষ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান ঘরগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d