সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে: মোতালেব
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মোতালেব এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-গুণে সমৃদ্ধ হতে হবে। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্মার্ট ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষম মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগের সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
রোববার (২ জুন) সকালে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার হল রুমে এসএসসি ও দাখিল-২৪ এর ফলাফল পর্যালোচনা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ মোতালেব বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্য বই, বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করছেন। দরিদ্র পরিবারকে নানা প্রকারের ভাতা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি ও শিক্ষা অফিসাররা স্মার্ট হলে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা সহজ হবে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীনে সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন হাসান চৌধুরী, আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দীন সিদ্দিকী, হাজী দেলোয়ার হোসেন, নুরুল আবচার চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ, সেলিম উদ্দীন, রমজান আলী, ওসমান আলী, তাপস দত্ত, মাহবুবুল হক শিকদার, মোরশেদুল আলম, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ আলী। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের প্রধান শিক্ষক, মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও বিদ্যালয় ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।