সাগরে-স্থলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের তোড়জোড়
তেল-গ্যাসের বিপুল চাহিদা মেটাতে আমদানির পাশাপাশি এবার অনুসন্ধানের তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী মাসেই বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ। এছাড়া দেশেও গ্যাসকূপ খনন করতে আগামী জুনের মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান- বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গত বছরের মার্চে প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করে মার্কিন কোম্পানি এক্সন মবিল। সে সময় তারা গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লক ইজারা চেয়েছিল। গত ১৬ জুলাই আরেকটি চিঠি দেয় কোম্পানিটি। সেই চিঠিতে ২৫-৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এক্সন মবিলের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ জন্য মার্কিন কোম্পানি এক্সন মবিলের দেওয়া প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে জ¦ালানি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক্সন মবিলকে আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, এক্সন মবিল প্রথমে সাগরে ব্লক ইজারা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। তার কিছুদিন পর তারা ২ডি সিসমিক জরিপ করার আগ্রহের কথা জানায়। তবে এ মুহূর্তে তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হচ্ছে না। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে সমুদ্রে ২৬টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এদিকে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে পেট্রোবাংলা। সেখানে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে গ্যাস কূপ খনন করার জন্য তিনটি বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এ তিন কোম্পানি হচ্ছে- সিনোপ্যাক, গ্যাজপ্রম ও এরিয়েল।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার ৪৬টি কূপ খনন করবে। এরমধ্যে ১৭টি কূপ খনন করার জন্য এ তিন কোম্পানি নির্বাচিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- দেশে সাধারণত বাপেক্স বেশিরভাগ কূপ খনন করে। কিন্তু সরকার দেশীয় জ¦ালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় এক সঙ্গে বেশি কূপ খনন করতে হচ্ছে। বাপেক্সের একার পক্ষে এই কূপ খনন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য বিদেশি ঠিকাদারদের দিয়ে নতুন করে কূপ খনন করা হচ্ছে।