অন্যান্য

সাতশ গ্রামবাসীকে মুজিব সিনেমা দেখালেন আ.লীগ নেতা

যুদ্ধপরবর্তী সময় অভিভাবকদের কাছ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে তাকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা শুনে আসছিলেন। এবার বাস্তবের সেই বর্ণনা সিনেমা পর্দায় দেখে অনেকেই কান্না ধরে রাখতে পারেনি।যেখানে সিনেমা শেষে দর্শক বের হয় আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে সেখানে মলিন মুখে বের হয়েছে দর্শক।কাউকে চোখ মুছতে মুছতে বের হতে দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার বরিশাল নগরীর অভিরুচি সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার চিত্র ছিল এমন।

ওই সিনেমা হলে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখার সুযোগ করে দেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আতিকুর রহমান। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৭০০ গ্রামবাসীকে এনে সিনেমাটি দেখান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বিকাল ৩টা থেকে ৬টার শোতে বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সিনেমাটি উপভোগ করেন।

সিনেমা দেখা শেষে প্রতিক্রিয়ায় একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি মা-বাবা ও মুরুব্বিদের কাছ থেকে। কিন্তু ওই সময় এতটা অনুভব করতে পারেনি। যখন সিনেমা দেখলাম তখন আমাদের চোখ ভিজে যাচ্ছিল। যে মানুষটি আমাদের একটি পতাকা ও মানচিত্র উপহার দিয়েছেন, তাঁকে কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে! এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে।’ উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল না থাকায় শহরে এসে সিনেমা উপভোগ করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যিনি এ সুযোগ করে দিয়েছেন তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিলন ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু বলেন, ‘এ সিনেমাটি আরও আগে নির্মাণ করা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিনেমাটি বয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সের শিক্ষার্থীরা উপভোগ করে আসল তথ্য জানতে পারছে। এটা তাদের হৃদয়ে গেঁথে গেছে।’ এ ধরনের সিনেমা আরও নির্মাণ করার অনুরোধ জানান তারা। এজন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নতুন নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। এতে করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে সকল রাজনীতিবিদ, মনীষী এবং নামীদামি ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার প্রসারিত হবে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন বাংলাদেশের হৃদয়ের একটি স্থান। তাকে নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম নানা কাহিনি শুনেছে। কিন্তু সেই কাহিনী বাস্তবতা কোনোভাবেই তাদের সামনে আসেনি। সামনে এসেছে কিছু ছবি এবং ধানমন্ডি জাদুঘরে সংরক্ষিত তার কিছু স্মৃতি। কিন্তু এ সিনেমা আমাদের প্রজন্মের চোখ খুলে দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। আমরা পেতাম না একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু সেই স্বাধীন রাষ্ট্রে নেই আমাদের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d