চট্টগ্রাম

সাবেক চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমকে গণধোলাইয়ের হুঁশিয়ারি

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বর্তমানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি চোখের পানি ফেলে ফেলে বলেছিলেন— ‘মা আপনার জন্য আমাদের সব সহযোগিতা থাকবে।’ সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে চেম্বারের এই সাবেক সভাপতিকে নির্লজ্জ, বেহায়া, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে ‘যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই দেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরাম।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে নগরের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম চেম্বারের ‘অবৈধ কমিটি’ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরাম। এ সময় চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলমকে এমন হুঁশিয়ারি দেন ফোরাম নেতারা।

বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগে চোখের পানি ফেলে ফেলে বলেছেন— ‘মা আপনার জন্য আমাদের সব সহযোগিতা থাকবে।’ এসব কি আমরা দেখি নাই! নির্লজ্জ, বেহায়া, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী; তোমাকে (মাহবুবুল আলম) যেখানেই পাওয়া যাবে গণধোলাই দেওয়া হবে।’’

মাহবুবুল আলমকে উদ্দেশ্য করে সাইফুল বলেন, ‘তুমি চট্টগ্রামে নামতে পারবে না। চুরি করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্ল্যাকমেইলিং করে সাক্ষাৎ করেছ; এর পরিণাম খুব খারাপ হবে।’

জুলুমবাজদের পদত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়ে সাইফুল বলেন, ‘আপনারা হয় ইজ্জত সহকারে পদত্যাগ করবেন; না হয় আপনাদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে। শুধু চট্টগ্রাম চেম্বার নয়; পতিত স্বৈরাচারের জুলুমবাজরা যেখানে যেখানে বসে আছেন, আপনারা নিজ থেকে সরে যান। যেখানে জুলুমবাজরা থাকবে, ধ্বংসলীলা থাকবে, চাটুকার থাকবে; সেখানে আমাদের বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরাম থাকবে।’

চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ, অতঃপর চার হাজার ভুয়া ভোট বাতিল করতে হবে—

বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বারে একজন ন্যায়পরায়ণ এবং সৎ-যোগ্য ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। এখানে প্রায় চার হাজার ভুয়া ভোটার রয়েছে। যাদের সঙ্গে চেম্বারের কোনো সম্পর্ক নেই, ব্যবসার কোনো সম্পর্ক নেই, প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই। ওই চার হাজার ভুয়া ভোটার দিয়ে তারা চেম্বারকে দখল করে রেখেছে। সব ভুয়া ভোটার বাতিল করতে হবে।’

সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d