সীমান্তে সংঘর্ষ, অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় শতাধিক বিজিপি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উপজেলার জামছড়ি, আশারতলী, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সীমান্তর ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সেক্টর ২ এর আরো শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। জামছড়ি সীমান্তে জড় হয়েছে তারা। রোববার-সোমবারের মধ্যে সীমান্তের জিরো লাইনে তারা আশ্রয় নিতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এর আগে, ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নেন। তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটেলিয়ান সদরের একটি স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।