সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে: মহাপরিচালক
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তায় অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম বাড়িয়ে বিজিবির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বিজিবির পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান, বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, বিজিবির ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ এহসান। এছাড়া অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, এই বাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবিতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, এপিসি, এটিভি, আরসিভি, এয়ার বোট, অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক অস্ত্র, জলযানসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি।
তিনি বলেন, বিজিবি আজ একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। এ বাহিনীর সদস্যদের আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন নতুন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কুচকাওয়াজ শেষে নবীন সেরা রিক্রুটদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। নবীন সৈনিকদের মাঝে এবার সব বিষয়ে সেরা নির্বাচিত হন মিনহাজ হোসেন রাফি। নারী সৈনিকদের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হন সাবাতুন উল্লাহ জিম।
এবার ১০১তম রিক্রুট ব্যাচে ৫৫৬ জন নবীন সৈনিকের মধ্যে ৫২০ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী রিক্রুট শপথগ্রহণের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবন শুরু করেছেন।