সুন্দরী যুবতীকে দিয়ে ফাঁদ পাতে অপহরণ করে তারা
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকার এক ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন (৬১)। নাছমিন আক্তার পাখি (২২) নামে এক যুবতীর সাথে সম্পর্ক হয় ঐ ব্যবসায়ীর। আসতে আসতে তাদের সাথে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। ঐ মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হতো ঐ ব্যবাসায়ীর। ঐ মেয়েটি তার সাথে দেখা করতে বলে ব্যবসায়ী ইকবালকে।
মেয়েটির কথা মতো ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দেখা করতে গেলেই ব্যবসায়ীর সাথে বাধে লঙ্কাকান্ড।
মেয়েটি কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন জুট মিলস্ উত্তর গেইটস্থ এশিয়াটিক কার্টন মিলের ভিতর প্রাণ কোম্পানির ওয়াসিং ফ্যাক্টরির পিছনের খালি জায়গায় নিয়ে গেলে সেখানে থাকা আরও দুইজনে মিলে ঐ ব্যবসায়ীকে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে অপহরণ করে আটকে রাখে এবং তার কাছ থেকে ৬০,০০০/- টাকা মুক্তিপণ আদায় এবং তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে ঐ ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশের একটি টিম বাদীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঐদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদীর সনাক্তমতে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, গতরাতে ঘটনার সাথে জড়িত চক্রের ৩ সদস্য নাছমিন আক্তার পাখি (২২), মোঃ ইমন (২২) ও মোঃ হৃদয় (২৩) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বাদীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ২টি SAMSUNG মোবাইল ফোন, নগদ ৫,০০০/- টাকা এবং ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার নাছমিন আক্তার পাখি চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ ১নং রোডের বার্মা কলোনি এলাকার আমানত আলীর বাড়ীর মোঃ ইদ্রিসের মেয়ে। মোঃ ইমন চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন কলোনী এলাকার জিএম পাহাড়ের নিচে রানীর বাড়ীর ইয়াসিনের ছেলে ও মোঃ হৃদয় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন মহেশপুর এলাকার রওশন আলী মুন্সির বাড়ীর মোঃ নুর আলমের ছেলে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের উপর ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পলাতক ৩ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।