চট্টগ্রামরাজনীতি

সুমনের পক্ষে থাকায় লতিফের লোকের ‘হুমকি’, যুবক এখন লাশ

সুমনের পক্ষে থাকায় লতিফের লোকের ‘হুমকি’, যুবক এখন লাশ

নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকার দক্ষিণ পতেঙ্গায় মো. সাকিব (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের পরিবারের দাবি— গেল নির্বাচনে কেটলির সমর্থন করায় নৌকা সমর্থিতরা তাকে বেশ কয়েকদিন যাবত ‘হুমকি’ দিয়ে আসছিল। আর সেই ভয়েই ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার ডেইলপাড়া আকবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সাকিব একই এলাকার মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

নিহতের ফুফু শাহীনা আক্তার বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রায়ই সাকিব আমাকে বলতো, আমি যেন ঘর থেকে বের না হই। আমি কেন বের হব না জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বলে, কেটলির সমর্থন যারা করে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনে কেটলি মার্কার সমর্থন করায় সাকিবকে বেশ কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছিলো। তবে সে কারও নাম বলেনি ভয়ে। তাকে ছুরি-কিরিচও দেখিয়েছিল হত্যা করবে বলে। এই ভয়ে আমার ভাইয়ের ছেলে আত্মহত্যা করেছে।’

নিহত সাকিবের বাবা মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘কে বা কারা হুমকি দিয়েছে নাম বলেনি। তবে সে গত চার-পাঁচদিন ধরে বলেছে আমাদের ফুল ফ্যামিলি টার্গেট। আমরা এমপির বিরুদ্ধে গিয়ে কেটলি মার্কাকে সমর্থন দিছি। তাই আমরা নাকি কেউ বাঁচবো না। আমাদের জন্য কেউ সুপারিশ করলেও কাজ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানায়ও যোগাযোগ করেছি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো কি না? পরে দেখি তাও হয়নি। আমার ছেলে কয়েকদিন ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এদিক-ওদিক লুকিয়ে থাকতো। জিজ্ঞেস করলে বলতো তাকে মেরে ফেলা হবে কেটলির সমর্থন করায়। আমি তাকে বলেছি মরলে একসাথে মরবো। তুই আমাদের সাথে থাক। কিন্তু ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না।’

জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে। বিস্তারিত আমি এখনো জানি না। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি এখন। গেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন এম এ লতিফ আর কেটলি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জিয়াউল হক সুমন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d