দেশজুড়ে

সোনাইমুড়ীতে গুলিবিদ্ধ আসিফ মারা গেছেন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত আসিফ (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।

নিহত আসিফ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মিরআলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। সেসময় পুলিশের গুলিতে আহত হন আসিফ। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে সোনাইমুড়ী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মিটিং চলছে -এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বের করে দেওয়ার জন্য বলে। পুলিশ জানায় থানায় কোনো নেতা নেই। কিন্তু তা বিশ্বাস না করে জনতা থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন ও আসিফসহ কয়েকজন আহত হন।

এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বেগমগঞ্জ ও মাইজদী থেকে ট্রাক ভর্তি করে কয়েক হাজার জনতা থানা ঘেরাও করে। সেসময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) চারজন ও আন্দোলনকারীদের তিনজনসহ সাতজন নিহত হন। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক। বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d