চট্টগ্রামজাতীয়

সোমালিয়ার জলদস্যুদের ফোন আসেনি, মুক্তিপণও দাবি করা হয়নি

ভারত মহাসাগরে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা সোমালিয়ার জলদস্যুদের কোনো ফোন কল আসেনি, মুক্তিপণও দাবি করা হয়নি। শুক্রবার ছুটির দিনেও এসআর শিপিং অফিসে কয়েকজন কর্মকর্তা–কর্মচারীর একটি টিম দস্যুদের ফোনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দস্যুদের সাড়া নেই। অপরদিকে জাহাজের নাবিকদের কাছ থেকেও বিশেষ কোনো ফোন আসেনি।

এদিকে জিম্মি হওয়া জাহাজটির উপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স–ইইউএনএভিএফওআর। ‘অপারেশন আটলান্টা’ হিসেবে পরিচালিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে সংস্থাটি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অপারেশন আটলান্টা বাংলাদেশি পতাকাবাহী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুতার শিকার হওয়ার ঘটনাটি এখনো অনুসরণ করছে। ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এমভি আবদুল্লাহতে ২০ জন সশস্ত্র জলদস্যুর উপস্থিতি থাকলেও এখন জাহাজটিতে ১২ জন দস্যু আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমালিয়ার স্থানীয় সরকারের নির্দেশক্রমে এমভি আবদুল্লাহ গতকাল সকাল ১১টায় নোঙর তুলে স্থান পরিবর্তন করেছে। বিকাল ৪টার দিকে আগের অবস্থান হতে ৪০ মাইল দূরে এসে নোঙর করেছে জাহাজটি। একটি সূত্র বলেছে, জাহাজটির অবস্থান সম্পর্কে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে দোভাষীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আলাপ সারছেন। ইশারায় টুকটাক কথাবার্তা চলছে দস্যুদের সঙ্গে। তবে তাদের দাবি বা জাহাজ মুক্তির ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।

জলদস্যুরা নাবিকদের বাসস্থান বা একোমোডেশন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে তাদের নেতাগোছের ২–৩ জন দস্যু পাইলটের কেবিন দখল করে সেখানে অবস্থান করছে। বাকি দস্যুরা রাতে ব্রিজ উইংয়ে বা ব্রিজের দুই পাশের খোলা ডেকে অবস্থান করছে। নাবিকরা জাহাজের স্টোর রুম হতে চাদর, বালিশ ইত্যাদি দস্যুদের সরবরাহ করেছে। জাহাজের সিকিউরিটিসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ দস্যুদের হাতে। তারা জাহাজের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিনগান আর একে–৪৭ রাইফেলসহ অবস্থান করছে।

নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানকারী ক্যাপ্টেন আতিক খান আজাদীকে বলেন, জলদস্যুরা দিনের বেলা সব নাবিককে ব্রিজে থাকা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর ফোন ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। জলদস্যুরা নাবিকদের স্থানীয় সিমকার্ড এনে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d