সৌদিতে গিয়েও হারল মেসির মায়ামি
লিওনেল মেসি এবং জেরার্ডো টাটা মার্টিনোর এবার বোধহয় দল নিয়ে একটু বেশিই ভাবনাচিন্তা করার সময় হয়ে এসেছে। হতে পারে প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতি চলছে, তাই বলে এত তারকাকে দলে নিয়ে ইন্টার মায়ামি জয়ের দেখাই পাবে না, এটা মেনে নেওয়া কিছুটা কষ্টই বটে। এল সালভাদরের বিপক্ষে ড্রয়ের পর নিজ দেশের দল এফসি ডালাসের কাছে হার। সেখান থেকে সৌদি সফরে এসে প্রথম ম্যাচেও হারের বৃত্তেই আটকা মেসি-সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া ইন্টার মায়ামি।
রিয়াদ সিজন কাপের প্রথম ম্যাচে নেইমারের আল-হিলালের মুখোমুখি হয়েছিল মেসি-সুয়ারেজদের ইন্টার মায়ামি। সেখানে অবশ্য প্রচন্ড উপভোগ্য এক ম্যাচই দেখা গিয়েছে। প্রীতি ম্যাচেই কিনা দেখা গেল ৭ গোল। ইন্টার মায়ামিকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আল হিলাল। এনিয়ে ২০২৪ সালের তিন ম্যাচেই জয়বঞ্চিত ইন্টার মায়ামি। তবে প্রাপ্তি একটাই এই ম্যাচে গোল পেয়েছেন মেসি-সুয়ারেজ দুজনেই।
প্রথমার্ধ অবশ্য ছিল পুরোপুরি একপেশে। ১০ মিনিটে জোরাল শটে গোল করেন ইংলিশ ক্লাব ফুলহ্যাম থেকে আল-হিলালে আসা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। ৩ মিনিট পরই মায়ামির ডিফেন্ডার অ্যালেনের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন আল হামদান। ১৩ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল করে মায়ামিকে বড় এক বার্তাই দিয়েছে আল-হিলাল। ৩৪ মিনিটে অবশ্য মায়ামি নিজেদের প্রথম গোল পায়।
৩৪ মিনিটে দলীয় আক্রমণের সুবাদে বল জালে জড়ান উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ। ভিএআর এর সাহায্য নিয়ে সেটি গোলের রায় দেন রেফারি। মায়ামির হয়ে এটি সুয়ারেজের প্রথম গোল। তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। ৪৪ মিনিটে আল হিলালের মিশেল দেলগাদোর গোলে আরও পিছিয়ে যায় মায়ামি। মাঝে মেসি একবার গোল করলেও সুয়ারেজের অফসাইডের কারণে বাদ যায় সেটি।
৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমান মেসি। ডেভিড রুইজ আল হিলালের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় মায়ামি। স্পটকিক থেকে গোল পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। ২০২৪ সালে এটিই তার প্রথম গোল। এক মিনিট পরই রুইজের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি।
ম্যাচ যখন নিশ্চিত ড্রয়ের পথে, তখনই ৮৮ মিনিটে ইয়াসির আল শাহরানির ক্রস থেকে হেডে আল-হিলারের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকম। আর তাতেই ৪-৩ গোলে হার নিশ্চিত হয় ইন্টার মায়ামির। আগামী বৃহষ্পতিবার ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর আল নাসরের বিপক্ষে সৌদি আরবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মায়ামি।