স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পাশাপাশি সেসব স্থায়ী দোকানে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২ জুন) চলতি বছরের জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
মেসার্স রেড পুষ্প জেনারেল স্টোরের সহযোগিতায় রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের প্যারিস রোডে শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আঞ্চলিক কার্যালয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আর অস্থায়ীভাবে টিসিবির পণ্যটি দিতে চাই না। আমরা আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে এই পণ্যগুলি দিতে চাই। যাতে সুববধাভোগীরা তাদের সময়মতো পণ্যগুলো নিতে পারে। এই প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। ডিলারদের অনুরোধ করবো, আপনারাও এই ব্যবস্থা করুন।
তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থ বছরে আমরা টিসিবির একটি বাফার স্টক তৈরি করার চেষ্টা করব। যাতে বিভিন্ন সময়ে বাজারে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিলেও আমরা যেন দামটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। সেই বাফার স্টক থেকে পণ্য সরবরাহ করতে পারি। এজন্য আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সুলভ মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে সেসব দেশ থেকে পণ্যগুলো নিয়ে আসতে পারি এবং ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যদি দোকান স্থায়ী হয়ে যায়, তাহলে আমাদের প্রায় ১০ হাজারের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এখন আমরা শুধু নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। মধ্যবিত্তদেরও যেন আমরা ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারি, সেই পরিকল্পনা আমাদের আছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি মাসেই আমাদের চেষ্টা থাকে যত তাড়াতাড়ি টিসিবির পণ্যটি সুবিধাভোগীর হাতে তুলে দিতে পারি। জুন মাসে প্রথম কর্ম দিবসেই টিসিবি এই কার্যক্রমটি শুরু করতে পেরেছে। এজন্য টিসিবির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। এক কোটি পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার এই কর্মযজ্ঞটা অনেক বড়। একেকটি পণ্য একেক জায়গা থেকে সংগ্রহ করে ডিলারদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীর হাতে পৌঁছে দিতে হয়।
তিনি আরো বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদের আগেই সারা দেশে প্রতিটি সুবিধাভোগীর হাতে টিসিবির এই প্যাকেজটি আমরা তুলে দিতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।