স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর, নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেলকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রাথী গিয়াস উদ্দিনের কর্মী সমর্থককে মারধর, প্রাণে মারার হুমকি ধমকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে এ শোকজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ নোটিশ দেন।
নোটিশে রুহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয় তাঁর অনুসারির কার্যাবলী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১(ক) বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে কেন সুপারিশ পাঠানো হবে না তা আগামী ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার মধ্যে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া গেল।
এর আগে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রতিবেদন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বরাবর চিঠি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
গত ১২ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া উত্তর বাজারের সৈদালী রাস্তার মুখে মাসুদের বাড়ির সামনে যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে মামলার আসামিরাসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাসুদের পকেটে থাকা ব্যবসায়িক লেনদেনের ৭৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতা মাসুদ রানা বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানাসহ ৭ জনকে। তারা স্থানীয় রাজনীতিতে নৌকার প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেলের কর্মী।
চট্টগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আওয়ামী লীগের নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।