স্বামীর পঞ্চম বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
জেলার বন্দরে বিয়ে পাগল স্বামীকে পঞ্চম বিয়েতে বাধা দেওয়ায় বিলকিস (৩৫) নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরআগে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের মালিবাগ গ্রামের নিজ বাড়িতে স্বামী মোস্তফা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে তিন সন্তানের সহায়তায় স্থানীয় লোকজন আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
গৃহবধূ বিলকিস জানান, তিনি ও মালিবাগ গ্রামের মৃত আজিমউদ্দিনের ছেলে মোস্তফা (৪৫) দুইজনই ইটভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। প্রথম স্ত্রীকে তালাকের পর ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে মামুনুর রশীদ (১৮), মায়া আক্তার (১৬) ও আরাফাত হোসেন (৮) তিন সন্তান জন্ম হয়। মাঝেমধ্যে অন্য আরও দুই নারীকে স্ত্রীকে দাবি করে বাড়িতে এনে রাখেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। বর্তমানে এক নারীকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লাগেন মোস্তফা। এ বিয়েতে বাধা দেওয়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালান স্বামী মোস্তফা। এ সময় তিন সন্তানের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তফা বলেন, আমার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে আমি তালাক দিয়েছি। তাই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।