আন্তর্জাতিক

স্বামী বাড়ি থেকে বের হলেই বেডরুমে চলত রোম্যান্স!

সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। ফলে বেশিরভাগ সময়ই কাটত বাড়ির বাইরে। সেদিন অসময়ে ছুটি পেয়ে স্ত্রীকে চমকে দিতে কিছু না জানিয়েই চলে যান বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে যে এমন দৃশ্য দেখতে হবে, তা কল্পনাও করেননি তিনি। স্ত্রীকে যে অবস্থায় দেখতে পেলেন, তাতে আর রাগ সামলাতে পারেননি। বাড়িতে তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও তার আড়ালে যে এতকিছু চলছিল, বুঝতে পারেননি স্বামী।

ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বিরোন্দা গ্রামের। স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে বেডরুমে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন স্বামী। তারপরই হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কয়েক বছর আগে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা মহেশের সঙ্গে বিয়ে হয় পূজার। তাদের তিন সন্তানও হয়। মহেশ আগে নয়ডায় টয়লেট ক্লিনারের কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে বন্ধু প্রহ্লাদ তাকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করার পরামর্শ দেন। রাজিও হন মহেশ। প্রহ্লাদই তাকে গ্রেটার নয়ডার একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি পেতে সাহায্য করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেই প্রহ্লাদের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মহেশের স্ত্রীর। ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে আর মহেশ কাজে গেলে পূজা প্রহ্লাদকে বাড়িতে ডাকতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সব গোপনই ছিল। কিন্তু গত ২৩ জুন মহেশ কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ফেরেন। আর বেডরুমের দরজা খুলতেই চমকে যান।

মহেশ দেখেন তার স্ত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছেন। এরপরই প্রহ্লাদকে নিশানা করে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তখন প্রহ্লাদ মহেশের ঘরে থাকা একটি কাঁচি দেখতে পান। অভিযোগ, সেটি দিয়েই মহেশকে খুন করেন প্রহ্লাদ ও পূজা। পেটে ও বুকে তারা ততক্ষণ ধরে কাঁচি মারতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না মহেশের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর তারা দুজনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ দুজনকেই গ্রেপ্তার করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d