স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে হবে
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। বিনামূল্যে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় জেলার স্মার্ট মনিটরিং কার্যক্রম দেশের সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামসহ সর্বত্র স্মার্ট পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামিতে আনতে শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবাকেন্দ্র গুলোকে জনগণের আস্থার স্থল হিসেবে পরিচিত করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার নগরীর কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের (৯–১৪ ডিসেম্বর) এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। সভা শেষে কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাল্যবিবাহ ফৌজদারী অপরাধ ও এটি রোধে জরিমানার বিধান রয়েছে। উন্নত জাতি গঠনে বাল্যবিবাহ রোধ করে প্রত্যেক মা, সন্তান ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘ ও এনজিও সংস্থাগুলো সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে। রুগ্ন মা ও সন্তানেরা উন্নত দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারবেনা, আমরা বাল্যবিবাহমুক্ত স্মার্ট দেশ গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে ১৮ বছরের আগে বিয়ে ও ২০ বছরের আগে সন্তান নয়। গত নভেম্বর মাসে নগরীর কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ৫১টি প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারীর প্রশংসাসহ প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
তিনি আরো বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। সরকার এ বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পরিবার পরিকল্পনা সেবাকে মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের সকল হাসপাতাল, মা–শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মো. আজমের সভাপতিত্বে ও পরিবার পরিকল্পনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা জেলার উপ–পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম ও সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. ছেহেলী নারগিস।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. শিরীণ আকতার রুহিনা।