হত্যার পর লাশ ফেলা হলো মেঘনায়, পাওয়া গেল সন্দ্বীপে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মো. রিপন (৫২) নামে এক জেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে সন্দ্বীপের উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার উড়িরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা নদী সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর মাকছুমুল গ্রামের মেঘনা নদী সংলগ্ন এলাকায় তাকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপন ওই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ মে নিজ বাড়ি থেকে রিপন ও তার ভগ্নিপতি জামাল উদ্দিন (৩৭) পৃথক সময়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরদিন ২৯ মে দুপুর ২টার দিকে জামাল বাড়িতে ফিরে আসেন। রিপন ফিরে আসেননি। বাড়িতে ফিরে আসা জামালের লুঙ্গিতে রক্ত লেগে থাকতে দেখেন তার স্ত্রী। গতকাল ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এদিন দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে রিপনের মরদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের ধারণা, উপজেলার চর মাকছুমুল গ্রামের মেঘনা নদীর পাড়ে জামাল তার সবজি প্রজেক্টের পাশে দা দিয়ে কুপিয়ে রিপনকে হত্যার পর মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন।
নিহতের রিপনের ছেলে আরমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত কিছুদিন আগে আমার ফুফা জামাল উদ্দিন ও তার লোকজনসহ একটি মাছ ধরার ফিশিং বোট চুরি করে নিয়ে আসেন। আমার বাবা এ বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বোটটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচন শেষ হলে এলাকায় ফুফা জামাল উদ্দিন কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটান। বিষয়টি আমার বাবা স্থানীয়দের জানালে তারা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর ফুফা দুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে আমার বাবাকে তার সহযোগী একই এলাকার দিদার, রবি, সোহাগ ও নিজামের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ মেঘনা নদীতে ফেলে দেন। বর্তমানে আমার ফুফা পলাতক রয়েছেন।
উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সায়েম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, রিপনের মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ারের পানিতে মরদেহটি উড়িরচর এলাকায় একটি পুকুরে ঢুকে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।