হরতালেও কর্মতৎপর সচিবালয়
রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে সচিবালয়ে আসেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মন্ত্রীদেরও কর্মস্থলে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এদিন সচিবালয়ের সামনে আবদুল গণি রোডে গাড়ি চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি।
সচিবালয়ের চারটি প্রবেশ ফটকের মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে তিনটি। প্রতিটি ফটকে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা গেছে। সামনের সড়কগুলো ছিল কিছুটা ফাঁকা।
সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এজন্য এক ও দুই নম্বর ফটকের মাঝামাঝি দর্শনার্থী অপেক্ষা কক্ষ ছিল শূন্য। সচিবালয়ের লিফটগুলোর সামনেও ভিড় দেখা যায়নি। তবে সচিবালয়ে গাড়ির সংখ্যা সকালে তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আজ সকাল থেকেই আমরা তৎপর রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে রাত থেকে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনার পর আমরা এখানে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর রয়েছি।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা জানান, আজকে হরতাল হলেও রাস্তায় যান চলাচল করছে। অবশ্য অন্য দিনের তুলনায় যানবাহন কম দেখা গেছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে প্রায় সবাই ঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েছে। নিদিষ্ট সময়ে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই অফিসে আসতে পেরেছেন