হাদিসের বর্ণনায় আজওয়া খেজুরের নানা উপকার
মদিনার উৎকৃষ্টতম খেজুর আজওয়া। পবিত্র হাদিস শরিফে এই ফলটিকে জান্নাতের ফল আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী (সা.)-এর কিছু সাহাবি বলেন, মাশরুম হলো জমিনের বসন্ত রোগ। বিশ্বনবী (সা.) বলেন, মাশরুম হলো মান্নের অন্তর্ভুক্ত এবং এর পানি চক্ষুরোগের প্রতিষেধক।
আজওয়া হলো বেহেশতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা বিষের প্রতিষেধক। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৬৮)
রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। এর উপকারিতা অপরিসীম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)
তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে বা কোনো জটিল রোগ আছে, তাদের উচিত এটা খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া। কারণ আজওয়া খেজুর হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী ওষুধ। কিন্তু রাসুল (সা.) তাঁর এক সাহাবিকে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখলে আমি তাঁর শৈত্য আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৫)
উল্লিখিত হাদিস দ্বারা একটি জিনিস স্পষ্ট হয়, যেসব রোগ স্পর্শকাতর, সেসব রোগের ওষুধ হিসেবে কোনো উপকারী ফল গ্রহণের আগেও অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সব ওষুধ সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আবার প্রযোজ্য হলেও তার মাত্রা কী হবে, তা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন।