২৩ দিন পর ঘুমধুম সীমান্তের ৫ প্রাইমারি স্কুল খুলছে কাল
টানা ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাময়িক বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার থেকে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে।’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় গত ২৯ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের আসতে দেখা যায়নি।
সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক বাংলাদেশি নারীসহ দুইজন নিহত হন। এর পরে ঘুমধুম সীমান্তের দুটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রশাসন।
দুইজন নিহত হওয়ার পরে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিম কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়গুলোতে আগামী বুধবার থেকে নিয়মিত ক্লাস চলবে।