৩০ বছর বয়সী নারীদের দীর্ঘ বার্তা দিলেন মেহজাবীন
জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। এবারের ঈদে আবারও ভিন্নধর্মী কাজ নিয়ে আলোচনায় দেশের নাটকটির নাম ‘তিথি ডোর’। যেখানে দেখানো হয়েছে ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের নানা টানাপোড়েন থেকে হতাশা এবং সর্বশেষ আত্মহননের চিন্তা।
এই নাটকটি ঘিরে বরাবরের মতো প্রশংসিত হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। আর পরিচালক ভিকি জাহেদের কাজ মানেই ভিন্ন ধারার কিছু। এই জুটির কাজে পরিচালনা ও অভিনয় দুটো মিলেমিশে একাকার হয়ে ওঠে। যদিও এখন খুব একটা নাটকে দেখা যায় না মেহজাবীন চৌধুরীকে। কারণ, তিনি বড় পর্দাতেও নাম লিখিয়েছেন।
শুক্রবার ‘তিথি ডোর’ নাটকের প্রসঙ্গ টেনে সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সেখানে অবিবাহিত ৩০ বছর বয়সীদের নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মেহজাবীন লিখেছেন, ‘আপনার বয়স ৩০ মানেই আপনার অন্তত একটা মন ভাঙার গল্প আছে। হঠাৎ একদিন দেখবেন যে মানুষটা একসময় আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, সেই মানুষটা অথবা সেই মানুষগুলো অনেক ভালো আছে। আর আপনার তখন মনে হবে “দিজ ইজ নট ফেয়ার”। আমাদের সবার জীবনে এমন একটি মুহূর্ত এসেছে, যখন আমরা ভেবেছি আর বেঁচে থেকে লাভ কী? তার ওপর আপনি যদি একজন ৩০ বছরের অবিবাহিত নারী হন, তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনি জীবিত থাকলেও কিছু অঘোষিত নিয়ম আপনার আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেবে।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘ডিপ্রেশন ইজ রিয়েল, আমাদের আশপাশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন; কিন্তু তাঁরা হয়তো নিজেরাই জানেন না। আমাদের প্রিয়জনদের আচরণে যদি পরিবর্তন দেখা যায় কিংবা অস্বাভাবিক লাগে, তাহলে তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলার চেষ্টা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে সহযোগিতা করুন।
এই কাজটির সঙ্গে আমাদের টিমের ব্যক্তিগত ইমোশন জড়িয়ে আছে নানাভাবে এবং তাঁকে সহযোগিতা করা আমাদের স্পেশাল কাজ। “লেট টোয়েনটিজ” এবং ৩০ এর ঊর্ধ্বে যে নারীরা আছেন, কাজটি আপনাদের কে ডেডিকেট করলাম।’
একই দিনে ‘তিথি ডোর’ নাটক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আরও একটি পোস্ট দিয়েছেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘না, তিথি ডোরে কোনো সাস্পেন্স-থ্রিল নেই। নেই কোনো খুন-মারামারি। নেই রহস্য কিংবা টুইস্ট। কিন্তু তারপরও এই গল্প বলাটা খুব জরুরি। আমাদের চারপাশে এখন যে অস্থির সময় চলছে, সেখানে এই গল্পটাই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ “তিথি ডোর” একটা অনুভূতির গল্প। যে অনুভূতি প্রতিটি সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে।’
মেহবাজীবন বলেন, ‘আমাদের অনুরোধ, “তিথি ডোর” দেখে এর মূল বক্তব্য অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। নিজের পাশের মানুষকে, নিজের কাছের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেমন আছে? তার কষ্ট হচ্ছে কি না? আপনার একটা কল, নক, টেক্সট বা সাক্ষাৎ হয়তো কারও জন্য বিশেষ একটি মুহূর্তে অমূল্য হয়ে দাঁড়াতে পারে! দেরি হয়ে যাওয়ার আগে আপনারা চেষ্টা করুন। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের কাছের মানুষকে ভালোবাসুন। জীবন সুন্দর। এর চেয়ে সুন্দর আর কোনো কিছু নেই, কখনো হবেও না!’