৭৩ বছরে মোংলা সমুদ্রবন্দর
৩ বছরে পদার্পণ করল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বন্দর চত্বরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠ, কেক কাটা, সর্বোচ্চ বন্দর ব্যবহারকারীদের ক্রেস্ট দেওয়া, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্রেস্ট দেওয়া, বিদায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রেস্ট দেওয়াসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক।
এ সময় সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, মোংলা প্রেসক্লাব সদস্যরা, সিবিএ নেতারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দর সদর দপ্তর মোংলা ও খুলনাস্থ বন্দর এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সব জাহাজে ১ মিনিট বিরতিহীন হুইসেল বাজানো হয়। বন্দরের অগ্রগতি কামনা করে সব মসজিদে দোয়া মোনাজাত আয়োজন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে সুন্দরবনের পাশে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পশুর নদীর পাড়ে স্থাপিত করা হয় এ সমুদ্র বন্দরটি। প্রথমে চালনা বন্দর নামে মোংলায় যাত্রা শুরু করে দেশের সম্ভাবনাময় এ সমুদ্র বন্দরটি। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর বন্দরে বিদেশি একটি ব্রিটিশ বণিক জাহাজ ‘দি সিটি অব লিয়নস’ মোংলা বন্দরে প্রথম নোঙর করে। সমুদ্রগামী জাহাজ নোঙরের ক্ষেত্রে মোংলা অধিকতর সুবিধাজনক হওয়ায় ১৯৫৪ সালে বন্দরটি চালনা থেকে মোংলায় স্থানান্তর করা হয়। তখন মোংলা বন্দর দীর্ঘদিন ধরে চালনা নামেই পরিচিত ছিল। বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রথমে চালনা অ্যাঙ্কর পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালে ‘চালনা পোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং সর্বশেষ ১৯৮৬ সাল থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হিসাবে যাত্রা শুরু করে।