কক্সবাজার

৭ দিন পর মিয়ানমারের পণ্যবাহী ট্রলার টেকনাফে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে সাত দিন বন্ধ থাকার পর দেশটি থেকে পণ্যবাহী নৌযান কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে।

রোববার দুপুরে রাখাইনের সিটওয়ে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা আমদানি পণ্যবোঝাই সাতটি নৌযান টেকনাফ স্থলবন্দরে ভেড়ে।

আজ দুপুরে স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, নাফ নদীতে অবস্থান করা সাতটি নৌযান থেকে মালামাল খালাস করছেন কয়েক শ শ্রমিক। এসব নৌযানে আসা পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, কাঠ, আদা, নারকেল, শুঁটকি, শুকনা সুপারি ও আচার।

দুটি নৌযানে কাঠ, আদা, আচার, শুঁটকি, সুপারি ও নারকেল আমদানি করেছেন টেকনাফের ব্যবসায়ী ও মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক। তিনি বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে এসব পণ্য রোজার আগে টেকনাফে আসবে কি না, তা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল তাঁর। অবশেষে আমদানি পণ্যভর্তি নৌযান ভেড়ার কারণে চিন্তামুক্ত হয়েছেন। কিছু আমদানি পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাঠানোর উদ্দেশে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে।

মেসার্স সামা এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পণ্যবোঝাই সাতটি নৌযানের দুটিতে রুই, কাতলাসহ হিমায়িত মাছ রয়েছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত রাখা গেলে দেশের বাজারে পবিত্র রমজান মাসে হিমায়িত মাছের সংকট কিছুটা দূর হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, সিটওয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় আমদানি পণ্যবোঝাই নৌযানগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়তে পেরেছে।

স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগের কাস্টমস সুপার বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, সাত দিন আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার প্রায় ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ, ছোলা, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d