পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যচুক্তি করেছেন: বীর বাহাদুর
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের অশান্তি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তিচুক্তি) স্বাক্ষর করেছিলেন। ২১ বছর পর ১৯৯৭ সালে ক্ষমতায় আসা মাত্রই এই অঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙালি সব মানুষের মনোবেদনা অনুধাবন করেছেন, নিজের শরণার্থী জীবনের বাস্তবতা থেকেই। পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর স্থায়ী শান্তির জন্যই শান্তিচুক্তি। এই চুক্তির যেসব বিষয়াবলী অবাস্তবায়িত রয়েছে, তা আগামী মেয়াদে জনগণের ভালোবাসায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনডিপি’র সহায়তায় ‘এসআইডি-সিএইচটি’ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫ কোটির টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাভদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান জেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তিন পার্বত্য জেলার নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তিন পার্বত্য জেলার ৪২ হাজার প্রান্তিক ও দুর্গম বাসিন্দাদের জন্য সোলার হোম প্রদান, ২৬ উপজেলার সড়ক অবকাঠামো সম্প্রসারণে সাড়ে ৫ শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন, বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণে সাড়ে ৭ শ কোটি টাকা প্রদান করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী ও জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম অতিথি বক্তা হিসেবে ছিলেন।
সভায় চার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়াও ৩৯১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, মিশ্র ফল চাষাবাদ, নারীবান্ধব উদ্যোক্তা, তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় এক কোটি টাকা ও আপদকালীন ত্রাণ হিসেবে ১৪৬ জনকে ৫৭টি চেক বিতরণ করা হয়।
সভায় জেলার পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও সবকটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান-কারবারি, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।