প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা
অনেকটা সময় স্থিতিশীল থাকার পর বাজারে কাঁচামরিচের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত এ পণ্যটির কেজি এতদিন ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে কেনা গেলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে এর দাম কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। খুচরায় এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা পর্যন্ত।
গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানে কাঁচামরিচের কেজি ৩২০ টাকায় ঠেকেছে। কোথাও কোথাও ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।
বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রহিম বলেন, কাঁচামরিচের হঠাৎ এত দাম বেড়েছে কেন জানা নেই। আড়তদার বলছেন, সরবরাহ হঠাৎ কমে গিয়েছে। তাই দাম বাড়তি।
প্রসঙ্গত, গত কোরবানির ঈদের পরবর্তী সময়ে কাঁচামরিচের বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে রেকর্ড দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হয়। পরে ভারত থেকে আমদানির কারণে পণ্যটির দাম কমে ১২০ টাকায় নেমে আসে, যা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম না হওয়ায় দেশি মরিচের সরবরাহ আগে থেকেই কম। অপরদিকে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচেরও সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সরবরাহের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ভারতেও কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমদানিকৃত মরিচও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে আমদানি বাড়ানো গেলে দাম কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, তীব্র দাবদাহ ও পরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেতে মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চলতি বছরের মাঝামাঝি স্থানীয় উৎপাদন ব্যাহত হয়। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচের দাম আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। এতে কাঁচামরিচের কেজি রেকর্ড ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। পরে বাজার বেসামাল হয়ে পড়লে ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।