কক্সবাজার

সৈকতের আকাশে হরেক রঙের ঘুড়ি

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকতের মুক্ত আকাশে উড়ছে রং-বেরঙের রঙিন ঘুড়ি। যে ঘুড়ি দেখে শৈশব স্মৃতি খুঁজছে পর্যটকসহ নানা বয়সের মানুষ। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পর্যটন মেলার পঞ্চম দিন রবিবার (১ অক্টোবর) বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে চলে ঘুড়ি উৎসব।

বিকেল সাড়ে ৪টা দেখা যায়, সৈকতের আকাশ দখলে নিয়েছে বিশাল আকৃতির রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যার ভয়ে আশপাশে ভিড়তে পারছে না জেলিফিশ, স্কুইড, ঈগল, উড়োজাহাজ, ডরিমন, পকেট কাইট, কচ্ছপ, সিংহ, ডলফিনসহ রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে মেতে উঠেছে পর্যটকসহ নানা বয়সের মানুষ। ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

সৈকতে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন নারগিস সুলতানা কান্তা। তিনি বলেন, আগে কোনদিন ঘুড়ি উড়ায়নি। এই প্রথম ঘুড়ি উড়াচ্ছি, বেশ মজা পাচ্ছি। আর সাগরপাড়ে ঘুড়ি উড়াতে অন্যরকম মজা পাচ্ছি। রঙ-বেরঙের ঘুড়িতে সৈকত আকাশটা অসাধারণ লাগছে।

সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা বলেন, কক্সবাজারের আকাশ হরেক রকম ঘুড়িতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে। বিচিত্র রং এবং বিশাল বিশাল ঘুড়ির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি ও ছবি তুলে অনেক খুশি লাগছে।

সানজিদা নাসরিন নামের এক পর্যটক বলেন, ঢাকার আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর পরিবেশ নেই। ইচ্ছা করলেও ঘুড়ি ওড়ানো যায় না। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে বিশাল এই সমুদ্রসৈকতের আকাশে ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে।

আরেক পর্যটক ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, দুরন্ত শৈশব, ঘুড়ি-লাটাই, মুক্ত আকাশ, গ্রামের বিস্তৃত মাঠ- সবই এখন স্মৃতি। আজ জীবনের এই মধ্যবেলায় ঘুড়ি-লাটাই হাতে যেন সেই হারানো শৈশবকে ফিরে পেয়েছি।

ঘুড়ি যেন নির্মল এবং অনাবিল আনন্দের নাম। আর আগত পর্যটকদের আনন্দ দিতে পারায় বড় অর্জন বলে জানিয়েছে জাতীয় ঘুড়ি ফেডারেশন।

সপ্তাহব্যাপি পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের ৫ম দিনে রোববার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে এই ঘুড়ি উৎসব চলে ৩ ঘন্টাব্যাপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d