রাজনীতি

দুর্গাপূজার ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার পরামর্শ ফখরুলের

আসছে দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত একটি নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেন। নির্বাচন দিলে ল্যাঠা চুকে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনভেনশনে’ তিনি এসব কথা বলেন।

সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের এ ছাত্র কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতই যদি জনপ্রিয় হন, ভোট দিতে অসুবিধা কোথায়। এতকিছু বানিয়েছেন, পদ্মাসেতু, আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল, উড়ালসড়ক বানিয়েছেন, জনগণ তো আপনাকে ভোট দেবে। দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই বাইরের দেশে দৌড়ে লাভ হবে না।

ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আপনাদের (আ. লীগের) অস্তিত্ব থাকবে না। এজন্য আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না। আমাদের পবিত্র দায়িত্ব, মানুষকে এ ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। নিঃসন্দেহে এ দানবের, ফ্যাসিবাদের পরাজয় ঘটবে।

আওয়ামী লীগ সবসময় একটি প্রতারক দল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মান্না সাহেব আগে বলতেন ফোর টোয়েন্টি দল। অর্থ্যাৎ, তারা মুখে বলবে একটি, কাজ করবে আরেকটি। গতকাল মার্কিন প্রতিনিধি দলকে আওয়ামী লীগ বলেছে, এখানে নাকি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন তারাই এনেছে। গত দুই নির্বাচন তারা নাকি সুষ্ঠুভাবেই করেছে। অথচ ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছিল, ২০১৮-তে আগের রাতে ভোট করেছে। এখন তারা বলছে আমরা ওপর আস্থা রাখেন। আমি আবার সুষ্ঠু নির্বাচন করব। এটি হচ্ছে শেয়ালের কাছে মুরগি দেওয়া।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চতুর্দিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়েছে। ঘুরে ঘুরে যদি কোনোমতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়। আর ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। এ দেশের সব মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মানুষ বাঁচতে চায় আপনাদের হাত থেকে। আপনাদের চুরি, দুর্নীতি, নির্যাতন, যন্ত্রণা, রাষ্ট্রকে সব কিছু থেকে ধ্বংস করে দেওয়া-এসব থেকে মানুষ বাঁচতে চায়।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনভেনশনের সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাবেক ছাত্রনেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d