গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ না থামালে ‘অবিনাশী ভূমিকম্প’ হবে ইসরায়েলে
ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর দেশ ইরান বলেছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান হামলা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ইহুদি প্রধান দেশটিকে ‘অবিনাশী ভূমিকম্পের সম্মুখীন’ হতে হবে।
দখলদারদের গাজায় করা আগ্রাসনকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেও উল্লেখ করেছে কাশেম সোলাইমানির দেশ।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে নিজেদের লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে ও এ কারণে দেশটিকে অবিনাশী ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া ছাড়াও হুমকি দিয়েছে ইরান। বলেছে, ‘খুব দেরি’ হওয়ার আগেই ইসরায়েলকে যুদ্ধ থামাতে হবে। নতুবা সামনে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তার জন্য শুধুমাত্র বেনিয়ামির নেতানিয়াহুর দেশই দায়ী থাকবে।
এদিকে নাইজেরিয়ার শিয়া মতাবলম্বীদের নেতা শেখ ইব্রাহিম জাকজাকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গাজার চলমান যুদ্ধকে ‘ইসলামের শক্তির অন্যতম এক প্রতীক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আশা করছেন, ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা ফিলিস্তিনিদের বিজয় ডেকে আনবে।
খামেনি বলেন, যা ঘটছে তা ফিলিস্তিনে ইসলামের অবিশ্বাস্য শক্তির নজির। যে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে তা এগিয়ে যাবে। এটি ফিলিস্তিনিদের শেস বিজয়ের দিকে ধাবিত করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিন একইদিন ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি অত্যাচারের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি ইসরায়েলিদের বিরাট হুমকিও দিয়েছেন। আমিরাব্দুল্লাহিন বলেছেন, তারা যদি গাজায় হামলা বন্ধ না করে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সরাসরি যুদ্ধে যোগ দিতে পারে। আর হিজবুল্লাহ এতে যোগ দিয়েই ফেলে ইসরায়েলকে অবিনাশী ভূমিকম্প দেখতে হবে।
গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রে সমৃদ্ধ ইহুদি গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে শত শত বিমান হামলা চালানো হয়েছে গাজা উপত্যকায়। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি; আহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৭১৪। নিহতদের মধ্যে ৭০০ ফিলিস্তিনি শিশু রয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলে হামলায় ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জন; আহত ৩ হাজার ৪০০।