সেন্ট মার্টিনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত
নির্দেশ না মেনে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে নির্মিত হচ্ছে এসব স্থাপনা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থাপনা নির্মাণে বিভিন্ন সামগ্রী নেয়া হচ্ছে অবৈধ ঘাট ব্যবহার করে। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নির্দেশ দেয়া হয়েছে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদের। গত রোববার কক্সবাজার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ সিদ্ধান্ত দেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আমিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অগোচরে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তিনি ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট মার্টিনে ১৯২টি স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ছাড়া সবই অবৈধ। চলতি বছর আরো ১০-১২টি স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। অনুমতি ছাড়াই সেন্ট মার্টিনে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটে নির্মাণসামগ্রী খালাস করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকলেই কেবল নির্মাণসামগ্রী ঘাটে খালাস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলা পরিষদকে। সেন্ট মার্টিনের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হওয়ায় ইট-কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে। তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে সেন্ট মার্টিনে অনুমোদনবিহীন স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছিল একাধিক চক্র। সম্প্রতি আবারো অনুমোদনবিহীন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে সেখানে। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে স্থাপনা নির্মাণে কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে একটি মহলের সহায়তায় সেখানে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যা থামাতে বদ্ধপরিকর উপজেলা প্রশাসন।’