চট্টগ্রাম

সোডা অ্যাশের বস্তায় আনা হলো ঘনচিনি, গুঁড়োদুধ!

‘সোডা অ্যাশ লাইট’ ঘোষণায় তিন কনটেইনারের একটি চালানে ৬০ টন ঘনচিনি, গুঁড়োদুধ, সাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি পেয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ চালানে মিথ্যা ঘোষণায় সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল।

কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার ৪৬৪ ডিটি রোডের সামিনা ম্যানশনের মেসার্স আরাফাত ট্রেডিং নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে চীন থেকে সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় তিন কনটেইনারের একটি চালান বন্দরে আসে গত ২৭ সেপ্টেম্বর।

চালানটি সিইপিজেডের বেসরকারি কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিস লিমিটেড নামের ডিপোতে নেওয়া হয়।

কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা ও পোর্ট কনট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পায়। এরপর চালানটি নজরদারিতে রাখা হয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমদানিকারক চালানটি খালাসের উদ্যোগ নেননি, বিল অব এন্ট্রিও দাখিল করেননি। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কনটেইনার তিনটি খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় সব বস্তায় ইংরেজিতে সোডা অ্যাশ লাইট মুদ্রিত পাওয়া গেলেও মাত্র ৪০ বস্তায় পণ্যটি ছিল। যার ওজন ১ টন।

বাকি বস্তগুলো কেটে ৬০ টন ঘনচিনি, গুঁড়োদুধ, স্যাকারিন, সাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি বিভিন্ন ফুড গ্রেডের পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যের সঠিকতা ও খাবার উপযোগী কিনা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d