সাজার মেয়াদ শেষ: মিয়ানমারে বন্দি ৩৫ বাংলাদেশি এখনো ফেরেনি
সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন ওরা। সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্রের ফাঁদে পড়ে সহায়-সম্বল বিক্রি করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রায় এক বছর ধরে ৩৫ জন সহজ-সরল নিরীহ বাংলাদেশির দিন কাটছে মিয়নামারের চার দেয়ালের অভ্যন্তরে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাদের দেশে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার চিঠি চালাচালি করেও মিয়ানমার থেকে এখনো কোনো সদুত্তর মেলেনি। ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রেঙ্গুন থেকে মংডুর বুচিডং কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাবন্দিরা দেশে ফেরার জন্য আকুতি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের টেকনাফের একজন মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের ফেরত আনার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
আবদুর রহিম নামে ওই মানবাধিকার কর্মী বলেন, কারাবন্দি ৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখায় আবেদন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত করে মিয়ানমারের রেঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ফেরত আসেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ থেকে অবৈধ পথে ট্রলারযোগে ৩৫ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রলারটি মিয়ানমারের জলসীমা দিয়ে যাওয়ার পথে থাইল্যান্ড জলসীমার কাছে এলে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে ৩৫ জনকে আটক করে ইয়াঙ্গুনের একটি কারাগারে বন্দি করে।