এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের হবে ফতুল্লা স্টেডিয়াম: আকরাম
এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের হবে ফতুল্লা স্টেডিয়াম: আকরাম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়ামে একসময় নিয়মিত আয়োজিত হতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু সেই দিন এখন অতীত। নিচু মাঠে অল্প বৃষ্টিতেই জমে পানি। সেই পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই। গ্যালারির ভাঙাচোরা চেহারা তো সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে এখন সবার জানা।
তবে শিগগিরই এই চেহারা বদলে যাবে। এমনকি ফিরবে আন্তর্জাতিক ম্যাচও। এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ফেসিলিটিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আকরাম খান।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের উন্নয়নমূলক সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের মাঠটা অনেক উঁচু করতে হবে। আমরা যতটুকু সম্ভব মাঠটি উঁচু করে খেলার উপযোগী করে তুলবো। এটা এই সিজনে না হলেও পরবর্তী সিজনে আমরা করতে পারবো। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটের একটি টিমের সঙ্গে আমরা বিগত ছয় মাস আলোচনা করছি। ওদের আইডিয়া নিয়েই আমরা কাজ করবো। আপাতত আমরা মাঠটিকে খেলার উপযোগী করতে চাই। আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। বছরখানেক পর আমরা এখানে আন্তর্জাতিক খেলার ভেন্যু হিসেবে তৈরি করে ফেলবো। ‘
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়েও কথা বলেন আকরাম। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে ১টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখেন আকরাম, ‘বিশ্বকাপে আমাদের শুরুরা ভালো হয়েছিল। তবে পরের তিনটি ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারিনি। এখনও পাঁচটি ম্যাচ আছে। আমরা যদি দুই তিনটি বড় দলকে হারাতে পারি তাহলে (সেমিফাইনালে) কোয়ালিফাই না করতে পারলেও ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারবো। ‘
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু (মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন) বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় খেলার মাঠ দরকার। এই মাঠটি খেলার অবস্থায় ছিল না। ক্রিকেট বোর্ডের নিজের অর্থায়নে এটা ছয় ফুট ও চার ফুট উঁচু করা হবে। যেন এখানে পানি না জমে। এখানে আপাতত ফার্স্ট, সেকেন্ড ও প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলা হবে। আমাদের খেলাধুলা যেন সারা বছর হয় সেজন্য এটা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে এটিকে ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক সংস্কার করা প্রয়োজন। সেটা এনএসএ করবে। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন এ মাঠটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু ছিল ততদিন এখানে রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবেই হয়েছে। ভেন্যু বাদ হয়ে যাওয়ার পর যখন খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায় তখন আর রক্ষণাবেক্ষণ আগের মতো হয়নি। পাশাপাশি এটা ডিএনডি এলাকায়। ডিএনডির কাজ সেনাবাহিনী করছে, সেটা সম্পন্ন হয়ে গেলেই এ জলাবদ্ধতার সমস্যাগুলো আর থাকবে না। এখন নিয়মিত খেলা চালু হলে এটার রক্ষণাবেক্ষণ আগের মতোই নিয়মিতভাবে চলবে। ‘