নেটওয়ার্ক-বিদ্যুৎ নেই, ঘূর্নিঝড় হামুনে অচল কক্সবাজার
সড়ক জুড়ে পড়ে আছে গাছ।নেটওয়ার্ক নেই, বিদ্যুৎ নেই, বন্ধ যান চলাচল। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কার্যত অচল হয়ে আছে কক্সবাজার। দেয়াল ও গাছ চাপায় প্রাণ গেছে তিন জনের। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালেও ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের চিহ্ন কক্সবাজার জুড়ে।
নিহতরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার আসকর আলী (৪৭)।
মঙ্গলবার রাত ৭টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানে। এতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়েছে ১৫টির বেশি গাছ। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে বৈদ্যুতিক তার বন্ধ যানবাহন চলাচল। নেই বিদ্যুৎ।
শুধু এই সড়কই নয়; কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে উপড়ে পড়েছে বিশাল আকৃতির গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়েছে সড়কে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। জেলা শহর ছাড়াও উপজেলাগুলোতে সড়ক উপসড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক না থাকায় কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কক্সবাজার অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের পর উপড়ে পড়া গাছপালা সরাতে বা বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এখনো মাঠে নামেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।