কর্ণফুলী টানেলের দুয়ার উন্মুক্ত হবে ২৯ অক্টোবর
আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দুয়ার খুলবে কর্ণফুলী টানেলের।এদিন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।পরে আনোয়ারা প্রান্তে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। পরদিন রবিবার সকাল ৬টা থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের একথা জানান।
২৮ অক্টোবর বিএনপির আন্দোলনকে সামনে রেখে কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি ৭১ এর চেতনা ধারণা করে না। তারা ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ধারণ করে। তারা প্রতিরোধের নামে সহিংসতা করতে চায়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ করব। তারা আক্রমণ করতে আসলে চুপচাপ বসে থাকব না। শান্তির সমাবেশে হামলা হলে পালটা হামলা হবে। তাদের সমাবেশ স্থলে আক্রমণ করব না। অতীতেও করি নাই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যেভাবে কথা বলে তার মানে তারা প্রতিরোধের নামে সহিংসতায় যেতে চায়। বিএনপি বলে তারা ১৯৭১ সালের চেতনা ধারণ করার কথা, কিন্তু তারা সেটি করে না।’
কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ পাচ্ছি না। আমি কোনো চাপের কথা জানি না। চাপ কেন হবে। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে সেখানে চাপের কিছু নেই।’
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সব সময় আতঙ্ক থাকে। রাজনীতিতে এমন ভয়, আতঙ্ক থাকেই। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানেল নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে টানেল উদ্বোধন করবেন। এরপর আনোয়ারা প্রান্তে জনসভায় অংশ নেবেন। উদ্বোধনের পরের দিন সকাল ৬টা টানেলে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।
গতকাল বুধবার রাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির নৈশভোজে সরকারের ভূমিমন্ত্রী থাকার বিষয়ে জানা নেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের। তিনি বলেন, ‘এটা অফিশিয়ালি না। আমার জানা নেই।’
কাদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৯ অক্টোবর তাঁর সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো সময় দিই নাই। আমরা যেহেতু রাজনৈতিক দল করি এই ব্যাপারে ওপর মহলের সিদ্ধান্ত লাগে। অনুমতি লাগে।’